০৯:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

শ্রীপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস: নথিপত্র নিরাপদ হলেও, নাগরিক সেবা আজও অরক্ষিত!

সুলতান মাহমুদ,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে।

Oplus_16908288

সুলতান মাহমুদ,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

এটি কোনো সাধারণ সরকারি দপ্তর নয়। এটি শ্রীপুর উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান, যেখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসেন তাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান নথিপত্র—জমির দলিল—নিরাপদ করতে। কিন্তু এই দপ্তরের প্রধান ফটকের সামনেই লুকিয়ে আছে এক গভীর রহস্য, যা প্রতি ফোঁটা বর্ষার পানিতে হয়ে ওঠে আরও দুর্ভেদ্য!
বৃষ্টির সামান্য ছোঁয়ায় প্রধান সড়কটি পরিণত হয় এক অকূল দরিয়ায়। অফিস প্রবেশমুখে জমা হওয়া সেই জল-কাদা কি কেবলই বৃষ্টির পানি, নাকি এটি একটি পরীক্ষা? যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সেবাগ্রহীতাদের জুতো হাতে নিয়ে পার হতে হয় সেই সামান্য কিন্তু বিপজ্জনক পথ?
ভুক্তভোগীরা ফিসফিস করে বলছেন, এই পথে অনেকে পিছলে পড়ে আঘাত পাচ্ছেন। নারী ও বয়স্কদের দুর্ভোগ যেন এই প্রতিবন্ধকতার সবচেয়ে বড় শিকার। প্রশ্ন জাগে, কেন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে প্রবেশের পথ এমন দুর্বিষহ প্রহেলিকা হয়ে থাকবে? এই সামান্য জল-কাদার স্তূপ কি আসলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবহেলা আর উদাসীনতার এক দৃশ্যমান দলিল?
শ্রীপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস কি তাহলে গোপনে আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে— নথিপত্র নিরাপদ হলেও, নাগরিক সেবা আজও অরক্ষিত?

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস: নথিপত্র নিরাপদ হলেও, নাগরিক সেবা আজও অরক্ষিত!

আপডেট সময়ঃ ১০:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

সুলতান মাহমুদ,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

এটি কোনো সাধারণ সরকারি দপ্তর নয়। এটি শ্রীপুর উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান, যেখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসেন তাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান নথিপত্র—জমির দলিল—নিরাপদ করতে। কিন্তু এই দপ্তরের প্রধান ফটকের সামনেই লুকিয়ে আছে এক গভীর রহস্য, যা প্রতি ফোঁটা বর্ষার পানিতে হয়ে ওঠে আরও দুর্ভেদ্য!
বৃষ্টির সামান্য ছোঁয়ায় প্রধান সড়কটি পরিণত হয় এক অকূল দরিয়ায়। অফিস প্রবেশমুখে জমা হওয়া সেই জল-কাদা কি কেবলই বৃষ্টির পানি, নাকি এটি একটি পরীক্ষা? যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সেবাগ্রহীতাদের জুতো হাতে নিয়ে পার হতে হয় সেই সামান্য কিন্তু বিপজ্জনক পথ?
ভুক্তভোগীরা ফিসফিস করে বলছেন, এই পথে অনেকে পিছলে পড়ে আঘাত পাচ্ছেন। নারী ও বয়স্কদের দুর্ভোগ যেন এই প্রতিবন্ধকতার সবচেয়ে বড় শিকার। প্রশ্ন জাগে, কেন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে প্রবেশের পথ এমন দুর্বিষহ প্রহেলিকা হয়ে থাকবে? এই সামান্য জল-কাদার স্তূপ কি আসলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবহেলা আর উদাসীনতার এক দৃশ্যমান দলিল?
শ্রীপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস কি তাহলে গোপনে আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে— নথিপত্র নিরাপদ হলেও, নাগরিক সেবা আজও অরক্ষিত?