১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

রাজশাহীতে পুলিশের নির্বাচনি দায়িত্বে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত

ডিপিডি প্রতিবেরদক, রাজশাহীঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:১৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৫২ বার পড়া হয়েছে।

ডিপিডি প্রতিবেরদক, রাজশাহীঃ

নির্বাচনি দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে রাজশাহীতে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।
“থাকবে পুলিশ জনপদে, ভোট দিবেন নিরাপদে” — এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহীর আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী তৃতীয় পর্যায়ের ট্রেনিং অব ট্রেইনারস (টিওটি) কোর্সের উদ্বোধন করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, “দেশবাসী অনেক দিন ধরে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখেনি। অতীতের নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও বিতর্ক ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যয় নিয়েছে, যা দেশ ও বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে পুলিশই মূল লিডিং ফোর্স। অন্য বাহিনীগুলো পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।

তিনি উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন—“নির্বাচন চলাকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যদের বুঝতে হবে, এই দায়িত্ব মূলত পুলিশেরই। প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে দায়িত্বশীল, সচেতন ও পরিস্থিতি মোকাবেলায় দক্ষ।”

পুলিশ কমিশনার আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে, নির্বাচনের সময় পুলিশের প্রশাসনিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। ফলে কোনো ধরনের গাফিলতি বা অবহেলার জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের লক্ষ্য হলো দেশবাসীকে একটি শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া।”

প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি পুলিশ সদস্যদের আহ্বান জানান যেন তারা দায়িত্ববোধ ও মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, যাতে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের সময় দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করা যায়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার জনাব ফারজানা ইসলাম, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-এর এআইজি (কমিউনিটি অ্যান্ড বিট পুলিশিং) জনাব মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) জনাব মোঃ গোলাম রব্বানী শেখ, পিপিএম (বার), এবং ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট জনাব কামরুন নাহার।

উল্লেখ্য, এই প্রশিক্ষণে আরএমপি, রাজশাহী জেলা পুলিশ এবং ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

কোর্সের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের সময় আইনি কাঠামো, নৈতিক দায়িত্ব, জনসম্পৃক্ততা, সংঘাত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা সমন্বয় বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে পুলিশের নির্বাচনি দায়িত্বে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত

আপডেট সময়ঃ ০৭:১৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

ডিপিডি প্রতিবেরদক, রাজশাহীঃ

নির্বাচনি দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে রাজশাহীতে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়েছে।
“থাকবে পুলিশ জনপদে, ভোট দিবেন নিরাপদে” — এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহীর আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী তৃতীয় পর্যায়ের ট্রেনিং অব ট্রেইনারস (টিওটি) কোর্সের উদ্বোধন করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, “দেশবাসী অনেক দিন ধরে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখেনি। অতীতের নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও বিতর্ক ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যয় নিয়েছে, যা দেশ ও বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে পুলিশই মূল লিডিং ফোর্স। অন্য বাহিনীগুলো পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।

তিনি উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন—“নির্বাচন চলাকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যদের বুঝতে হবে, এই দায়িত্ব মূলত পুলিশেরই। প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে দায়িত্বশীল, সচেতন ও পরিস্থিতি মোকাবেলায় দক্ষ।”

পুলিশ কমিশনার আরও স্মরণ করিয়ে দেন যে, নির্বাচনের সময় পুলিশের প্রশাসনিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। ফলে কোনো ধরনের গাফিলতি বা অবহেলার জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের লক্ষ্য হলো দেশবাসীকে একটি শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া।”

প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি পুলিশ সদস্যদের আহ্বান জানান যেন তারা দায়িত্ববোধ ও মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, যাতে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের সময় দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করা যায়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার জনাব ফারজানা ইসলাম, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স-এর এআইজি (কমিউনিটি অ্যান্ড বিট পুলিশিং) জনাব মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) জনাব মোঃ গোলাম রব্বানী শেখ, পিপিএম (বার), এবং ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট জনাব কামরুন নাহার।

উল্লেখ্য, এই প্রশিক্ষণে আরএমপি, রাজশাহী জেলা পুলিশ এবং ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

কোর্সের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের সময় আইনি কাঠামো, নৈতিক দায়িত্ব, জনসম্পৃক্ততা, সংঘাত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা সমন্বয় বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।