১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

তানোরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

ডিপিডি প্রতিবেদক, তানোরঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৭৮ বার পড়া হয়েছে।

ডিপিডি প্রতিবেদক, তানোরঃ

রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) মোঃ রেজাউল আলম সরকার তানোর উপজেলা নিবাহী অফিসারের কার্যালয়, তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও ইউপির গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি)।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত সালমান, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজিমুদ্দীন (বাবু), ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রাসেল রহমান, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প – ৩ এর উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ আরিফুল ইসলাম, ইউপি হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও গ্রাম আদালত সহকারী জনাব মোঃ মারুফ হাসান সিদ্দিকী এবং ইউপির সকল সদস্যবৃন্দ ও সকল গ্রামপুলিশ।

পরিদর্শনকালে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখেন, জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেন। কমিশনার বলেন,
গ্রামীণ জনগণের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রথম স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। তাই এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।

তিনি ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম, নাগরিক সনদপ্রদান, ভিজিএফ-ভিজিডি কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মান যাচাই করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্দেশে কমিশনার নিয়মিত পরিষদ সভা আয়োজন ও উন্নয়ন কাজে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল গ্রাম আদালতের কার্যক্রম। কমিশনার জানতে চান, সাধারণ মানুষ কতটা সহজে এই আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাচ্ছে।

গ্রাম আদালত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রাথমিক বিচারব্যবস্থা, যেখানে ছোটখাটো দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। যেমন—জমি বা সীমানা নিয়ে বিরোধ দেনা-পাওনার ঝামেলা পারিবারিক কলহ স্বল্প অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি ইত্যাদি।

এর ফলে মানুষকে আর দূরের আদালতে ছুটতে হয় না। সময়, খরচ ও ভোগান্তি—সবই কমে আসে।
“গ্রাম আদালত সক্রিয় হলে গ্রামের মানুষ অনেক দ্রুত ন্যায়বিচার পাবে। এটি আদালতের মামলার চাপও কমাবে।”

এসময় তিনি গ্রাম আদালত এজলাস পরিদর্শন করেন ও গ্রাম আদালত সংক্রান্ত বিভিন্ন রেজিষ্টার ও নথিপত্র তদারকি করেন এবং গ্রাম আদালত সহকারীকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন শেষে কমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে উঠবে প্রকৃতপক্ষে জনগণের সেবাকেন্দ্র। কমিশনার তালন্দ ইউপির প্রাঙ্গণে একটি ফলজ ও একটি বনজ বৃক্ষরোপণ করেন। এর আগে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তানোরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

আপডেট সময়ঃ ০৮:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

ডিপিডি প্রতিবেদক, তানোরঃ

রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) মোঃ রেজাউল আলম সরকার তানোর উপজেলা নিবাহী অফিসারের কার্যালয়, তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও ইউপির গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি)।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিয়াকত সালমান, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাজিমুদ্দীন (বাবু), ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রাসেল রহমান, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প – ৩ এর উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ আরিফুল ইসলাম, ইউপি হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও গ্রাম আদালত সহকারী জনাব মোঃ মারুফ হাসান সিদ্দিকী এবং ইউপির সকল সদস্যবৃন্দ ও সকল গ্রামপুলিশ।

পরিদর্শনকালে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখেন, জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেন। কমিশনার বলেন,
গ্রামীণ জনগণের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রথম স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। তাই এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।

তিনি ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম, নাগরিক সনদপ্রদান, ভিজিএফ-ভিজিডি কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মান যাচাই করেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্দেশে কমিশনার নিয়মিত পরিষদ সভা আয়োজন ও উন্নয়ন কাজে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল গ্রাম আদালতের কার্যক্রম। কমিশনার জানতে চান, সাধারণ মানুষ কতটা সহজে এই আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাচ্ছে।

গ্রাম আদালত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রাথমিক বিচারব্যবস্থা, যেখানে ছোটখাটো দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়। যেমন—জমি বা সীমানা নিয়ে বিরোধ দেনা-পাওনার ঝামেলা পারিবারিক কলহ স্বল্প অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি ইত্যাদি।

এর ফলে মানুষকে আর দূরের আদালতে ছুটতে হয় না। সময়, খরচ ও ভোগান্তি—সবই কমে আসে।
“গ্রাম আদালত সক্রিয় হলে গ্রামের মানুষ অনেক দ্রুত ন্যায়বিচার পাবে। এটি আদালতের মামলার চাপও কমাবে।”

এসময় তিনি গ্রাম আদালত এজলাস পরিদর্শন করেন ও গ্রাম আদালত সংক্রান্ত বিভিন্ন রেজিষ্টার ও নথিপত্র তদারকি করেন এবং গ্রাম আদালত সহকারীকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন শেষে কমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে উঠবে প্রকৃতপক্ষে জনগণের সেবাকেন্দ্র। কমিশনার তালন্দ ইউপির প্রাঙ্গণে একটি ফলজ ও একটি বনজ বৃক্ষরোপণ করেন। এর আগে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় পরিদর্শন করেন।