১২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

মান্দায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দী ২০০ পরিবার

মান্দা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:২১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০৭ বার পড়া হয়েছে।

মান্দা প্রতিনিধি :
আত্রাই নদের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নওগাঁর মান্দা উপজেলার তালপাতিলা এলাকায় বেড়িবাঁধের একটি স্থান ভেঙে গেছে। শনিবার ভোররাতে হঠাৎ করে বেড়িবাঁধটি ভেঙে পড়ায় আশপাশের তালপাতিলা ও উত্তর চকরামপুর গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ার ফলে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। একইসঙ্গে ভেসে গেছে বেশকিছু জলাশয়ের মাছ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরে নদের পানি বাড়তে থাকায় রাত জেগে বেড়িবাঁধ পাহারা দিচ্ছিলেন তাঁরা। ভোররাতে পাহারারত লোকজন চলে যাওয়ার পর বাঁধের একস্থানে লিকেজ দেখা দেয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী তা মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁধটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
তালপাতিলা গ্রামের বাসিন্দা এমদাদুল হক বাবুল বলেন, ‘২০২৩ সালের বন্যায় এই স্থানে বেড়িবাঁধটি ভেঙে গিয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এটি খোলা অবস্থায় ছিল। দেড় মাস আগে বাঁধটি সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়। কিন্তু এবার নদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আবারও তা ভেঙে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঁধ মেরামতের পর আমরা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলাম। অনেকেই জলাশয়ে মাছ চাষ করছিলেন। এখন সবই পানির নিচে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছি।’
এদিকে মান্দা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বেড়িবাঁধের ভাঙনস্থানসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ইমরান হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দুর্গত কয়লাবাড়ি গ্রামের ২২টি পরিবারকে তাৎক্ষণিক খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আত্রাই নদের পানি ধীরে ধীরে কমছে। শনিবার বিকেল ৩টায় জোতবাজার পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপরে।#

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মান্দায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দী ২০০ পরিবার

আপডেট সময়ঃ ০৬:২১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

মান্দা প্রতিনিধি :
আত্রাই নদের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নওগাঁর মান্দা উপজেলার তালপাতিলা এলাকায় বেড়িবাঁধের একটি স্থান ভেঙে গেছে। শনিবার ভোররাতে হঠাৎ করে বেড়িবাঁধটি ভেঙে পড়ায় আশপাশের তালপাতিলা ও উত্তর চকরামপুর গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ার ফলে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। একইসঙ্গে ভেসে গেছে বেশকিছু জলাশয়ের মাছ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন ধরে নদের পানি বাড়তে থাকায় রাত জেগে বেড়িবাঁধ পাহারা দিচ্ছিলেন তাঁরা। ভোররাতে পাহারারত লোকজন চলে যাওয়ার পর বাঁধের একস্থানে লিকেজ দেখা দেয়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী তা মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁধটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
তালপাতিলা গ্রামের বাসিন্দা এমদাদুল হক বাবুল বলেন, ‘২০২৩ সালের বন্যায় এই স্থানে বেড়িবাঁধটি ভেঙে গিয়েছিল। এরপর দীর্ঘদিন মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এটি খোলা অবস্থায় ছিল। দেড় মাস আগে বাঁধটি সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়। কিন্তু এবার নদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আবারও তা ভেঙে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঁধ মেরামতের পর আমরা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলাম। অনেকেই জলাশয়ে মাছ চাষ করছিলেন। এখন সবই পানির নিচে। বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছি।’
এদিকে মান্দা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বেড়িবাঁধের ভাঙনস্থানসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ইমরান হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, দুর্গত কয়লাবাড়ি গ্রামের ২২টি পরিবারকে তাৎক্ষণিক খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আত্রাই নদের পানি ধীরে ধীরে কমছে। শনিবার বিকেল ৩টায় জোতবাজার পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪২ মিটার, যা বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপরে।#