০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ শিশু হুযাইফার রহস্যজনক পরিণতি, চাপা আতঙ্ক

সুলতান মাহমুদ
  • আপডেট সময়ঃ ১০:১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৭৭ বার পড়া হয়েছে।

সুলতান মাহমুদ,গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি সাধারণ দিন শুরু হয়েছিল নিরুদ্দেশ যাত্রার মধ্য দিয়ে। সকালে বাবার সঙ্গে গরু চরাতে বেরিয়েছিল নয় বছরের শিশু হুযাইফা। দুপুরের আগে বাবা ফিরে এলেও ফেরেনি সে। এই সহজ সমীকরণেই জন্ম নেয় এক জটিল ধাঁধার। নির্দোষ এক শিশুর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, যা মুহূর্তে পরিণত হয় এক চাপা আতঙ্কে। পরিবার ও স্থানীয়দের মরিয়া খোঁজাখুঁজি যখন ব্যর্থ, ঠিক তখনই, বিকেল ৩টায় গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন শিরারমার চালা এলাকার সেই ঘন জঙ্গলটি তার নিস্তব্ধতা ভেঙে দেয় এক মর্মান্তিক সত্যের মাধ্যমে।
জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় হুযাইফার নিথর দেহ। এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাক ও মাথায় স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যা এক অকথিত নৃশংসতার ইঙ্গিত দেয়। কে বা কারা এমন বীভৎস কাজ করল, কেনই বা এই নিষ্পাপ শিশুকে এভাবে নিভিয়ে দেওয়া হলো, সাধারণ চারণভূমি কি তবে পরিণত হয়েছিল এক নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের মঞ্চে?
পুত্রহারা বাবার বুকফাটা আর্তনাদ। ছেলেকে হারিয়ে শোকের মধ্যে আছি। কে বা কারা এমন নিষ্ঠুর কাজ করল, বুঝতে পারছি না। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এই সরল দাবি যেন গোটা এলাকার মানুষেরই প্রতিধ্বনি।
আঘাতের চিহ্ন স্পষ্টত হত্যাকাণ্ডের দিকে ইঙ্গিত করলেও, চূড়ান্ত সত্য উদঘাটনের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এক নয় বছরের শিশুর মৃত্যুর নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা সেই ভয়াবহ সত্য উন্মোচনের অপেক্ষায় এখন পুলিশ ও গোটা এলাকা।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ শিশু হুযাইফার রহস্যজনক পরিণতি, চাপা আতঙ্ক

আপডেট সময়ঃ ১০:১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

সুলতান মাহমুদ,গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় একটি সাধারণ দিন শুরু হয়েছিল নিরুদ্দেশ যাত্রার মধ্য দিয়ে। সকালে বাবার সঙ্গে গরু চরাতে বেরিয়েছিল নয় বছরের শিশু হুযাইফা। দুপুরের আগে বাবা ফিরে এলেও ফেরেনি সে। এই সহজ সমীকরণেই জন্ম নেয় এক জটিল ধাঁধার। নির্দোষ এক শিশুর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, যা মুহূর্তে পরিণত হয় এক চাপা আতঙ্কে। পরিবার ও স্থানীয়দের মরিয়া খোঁজাখুঁজি যখন ব্যর্থ, ঠিক তখনই, বিকেল ৩টায় গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন শিরারমার চালা এলাকার সেই ঘন জঙ্গলটি তার নিস্তব্ধতা ভেঙে দেয় এক মর্মান্তিক সত্যের মাধ্যমে।
জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় হুযাইফার নিথর দেহ। এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাক ও মাথায় স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যা এক অকথিত নৃশংসতার ইঙ্গিত দেয়। কে বা কারা এমন বীভৎস কাজ করল, কেনই বা এই নিষ্পাপ শিশুকে এভাবে নিভিয়ে দেওয়া হলো, সাধারণ চারণভূমি কি তবে পরিণত হয়েছিল এক নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের মঞ্চে?
পুত্রহারা বাবার বুকফাটা আর্তনাদ। ছেলেকে হারিয়ে শোকের মধ্যে আছি। কে বা কারা এমন নিষ্ঠুর কাজ করল, বুঝতে পারছি না। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এই সরল দাবি যেন গোটা এলাকার মানুষেরই প্রতিধ্বনি।
আঘাতের চিহ্ন স্পষ্টত হত্যাকাণ্ডের দিকে ইঙ্গিত করলেও, চূড়ান্ত সত্য উদঘাটনের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এক নয় বছরের শিশুর মৃত্যুর নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা সেই ভয়াবহ সত্য উন্মোচনের অপেক্ষায় এখন পুলিশ ও গোটা এলাকা।