০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

রাবিতে তিন দিনব্যাপী ‘কেএসআই’ গবেষণা মডিউল বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

রাবি প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:২৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে।

রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ‘কেএসআই’ মডিউল -এর উপর ‘গুণগত গবেষণা ও প্লেজারিজম হ্রাসকরণ’ বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মডিউলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, কলা, সামাজিক বিজ্ঞানসহ সকল অনুষদের গবেষণার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেএসআই মডিউল মালেশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউসির কনফারেন্স রুমে এ ওয়ার্কশপের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। কেএসআই মডিউলের উদ্ভাবক মালয়েশিয়া পুত্রা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন রিসোর্স পারসন হিসেবে তিন দিনব্যাপী এ ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন। কেএসআই মডিউল হলো একটি সুচিন্তিত একাডেমিক লেখন পদ্ধতি, যা থিসিস বা গবেষণাপত্র লেখনে কাঠামোগত ও পরিকল্পিত একটি রোডম্যাপ প্রদান করে। এছাড়াও নিয়ম অনুসারে উপযুক্তভাবে তথ্য সাজিয়ে, যথাযথ শব্দ প্রয়োগ, নিজস্ব বিশ্লেষণ এবং সঠিক কাঠামো বজায় রাখলে, প্লেজারিজম বা চৌর্যবৃত্তির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। আইকিউসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন-এর সঞ্চালনায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখন গবেষণার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এখন গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও প্রদান করছে। গবেষণা লেখার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকের দুর্বলতা রয়েছে। ফলে এসব ওয়ার্কশপের মাধ্যমে নিজের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

আইকিউসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু রেজা বলেন, আমাদের শিক্ষকদের প্রথম কাজ হচ্ছে নিজে শিখতে হবে এবং সেখান থেকে অর্জিত জ্ঞান থেকে শিক্ষার্থীদের শেখানো। ফলে আগে আমাদের শিখতে হবে। কেএসআই মডিউলটি একটি গবেষণা সুন্দরভাবে লেখার জন্য সহায়ক হবে যা মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স লেভেলে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। এসময় উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল শিক্ষককে ধন্যবাদ জানান তিনি। স্বাগত বক্তব্যে আইকিউসির সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিমুল ইসলাম বলেন, কেএসআই মডিউলের মাধ্যমে আপনাদের জ্ঞান আরও সমৃদ্ধি হবে। গবেষণা লেখার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড কিভাবে সাজানো হয় এবং প্লেজারিজম কিভাবে হ্রাস করা যায় এ বিষয় নিয়েই এই মডিউলে আলোচনা করা হবে। এই জ্ঞানটিকে কাজে লাগিয়ে রিসার্চের ক্ষেত্রে নিজে যেমন সমৃদ্ধ হবেন পাশাপাশি আমাদের ফেলোদেরকেও সমৃদ্ধ করতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদী।

এর আগে গত মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, গবেষণা পদ্ধতি প্রতিনিয়ত নতুনত্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কেএসআই মডিউল গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। আমরা চাই গবেষণার মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক। এই ওয়ার্কশপে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি নাটোর, আহসানিযা মিশন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এবং রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাবিতে তিন দিনব্যাপী ‘কেএসআই’ গবেষণা মডিউল বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

আপডেট সময়ঃ ০৮:২৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ‘কেএসআই’ মডিউল -এর উপর ‘গুণগত গবেষণা ও প্লেজারিজম হ্রাসকরণ’ বিষয়ক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মডিউলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, কলা, সামাজিক বিজ্ঞানসহ সকল অনুষদের গবেষণার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেএসআই মডিউল মালেশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউসির কনফারেন্স রুমে এ ওয়ার্কশপের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। কেএসআই মডিউলের উদ্ভাবক মালয়েশিয়া পুত্রা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন রিসোর্স পারসন হিসেবে তিন দিনব্যাপী এ ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন। কেএসআই মডিউল হলো একটি সুচিন্তিত একাডেমিক লেখন পদ্ধতি, যা থিসিস বা গবেষণাপত্র লেখনে কাঠামোগত ও পরিকল্পিত একটি রোডম্যাপ প্রদান করে। এছাড়াও নিয়ম অনুসারে উপযুক্তভাবে তথ্য সাজিয়ে, যথাযথ শব্দ প্রয়োগ, নিজস্ব বিশ্লেষণ এবং সঠিক কাঠামো বজায় রাখলে, প্লেজারিজম বা চৌর্যবৃত্তির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। আইকিউসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন-এর সঞ্চালনায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এখন গবেষণার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এখন গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও প্রদান করছে। গবেষণা লেখার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকের দুর্বলতা রয়েছে। ফলে এসব ওয়ার্কশপের মাধ্যমে নিজের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

আইকিউসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু রেজা বলেন, আমাদের শিক্ষকদের প্রথম কাজ হচ্ছে নিজে শিখতে হবে এবং সেখান থেকে অর্জিত জ্ঞান থেকে শিক্ষার্থীদের শেখানো। ফলে আগে আমাদের শিখতে হবে। কেএসআই মডিউলটি একটি গবেষণা সুন্দরভাবে লেখার জন্য সহায়ক হবে যা মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স লেভেলে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। এসময় উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল শিক্ষককে ধন্যবাদ জানান তিনি। স্বাগত বক্তব্যে আইকিউসির সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিমুল ইসলাম বলেন, কেএসআই মডিউলের মাধ্যমে আপনাদের জ্ঞান আরও সমৃদ্ধি হবে। গবেষণা লেখার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড কিভাবে সাজানো হয় এবং প্লেজারিজম কিভাবে হ্রাস করা যায় এ বিষয় নিয়েই এই মডিউলে আলোচনা করা হবে। এই জ্ঞানটিকে কাজে লাগিয়ে রিসার্চের ক্ষেত্রে নিজে যেমন সমৃদ্ধ হবেন পাশাপাশি আমাদের ফেলোদেরকেও সমৃদ্ধ করতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদী।

এর আগে গত মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, গবেষণা পদ্ধতি প্রতিনিয়ত নতুনত্বের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কেএসআই মডিউল গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। আমরা চাই গবেষণার মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক। এই ওয়ার্কশপে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি নাটোর, আহসানিযা মিশন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এবং রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।