০৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

দুর্গাপুরে হত্যা মামলার আসামীকে পিটিয়ে হত্যা

প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে।

প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুর তিনমাস পূর্বে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনার নিহত হাসিবুর হত্যা মামলার আসামী ওয়াজেদ আলীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওয়াজেদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে মৃত্যু বরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে নিহতের পরিবার।

১০ আগস্ট (রবিবার) দুপুর ১১ টার দিকে উপজেলার মাড়িয়া ইউপির হোজা অনন্তকান্দি গ্রামে একটি পান বরজে এ ঘটনা ঘটে। জানাযায়, হাসিবুর হত্যা জেরে দীর্ঘ ৩ মাস ধরে এলাকায় ঢুকতে পারছিলেন না আসামি ও তার পরিবারের লোকজনেরা। হামলার শিকার পিতা পুত্র বিলের রাস্তা ধরে তাদের পান বরজে কাজ করতে যায়। খবর পেয়ে প্রতিপক্ষরা, সংঘবদ্ধভাবে হামলা করে হাসিবুর হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামী ওয়াজেদ আলীকে পিটিয়ে দুটি পা একটি হাত ভেঙ্গে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে যায়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ছেলে মাসুমকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়। সন্তান ও স্বামীকে বাঁচাতে আসলে লাইলী বেগমকে পিটিয়ে আহত করে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষরা। আহত মাসুম জানান, পূর্বের বিরোধের জের ধরে আব্বা ও আমি বরজে গেলে, একরামুল, লতিফ, খাদেমুল, ফায়সাল,রনি, ফারুক, কোরবান সহ আরও ১০ থেকে ১২ জন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমার আব্বাকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে আমার হাত ভেঙ্গেছে মাকে পিটিয়েছে। আব্বাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

প্রসঙ্গত, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১৪ মে সকাল সাড়ে সাতটার হাসিবুর হত্যা মামলার বাদী আবুল কাশেমের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে পিটিয়ে, কুপিয়ে শাহিনকে সহ বেশ কয়েকজনকে মারাত্মক আহত করে। এরই জের ধরে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে আহতদের আত্মীয় স্বজনের হামলায় আবুল কাশেমের ছেলে হাসিবুর গুরুত্বর আহত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এনিয়ে ১৮ জন নামীয় ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের হয়। অধিকাংশ আসামী গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্ত রয়েছেন তবে প্রতিপক্ষের হামলার আশঙ্কায় ও হত্যার হুমকিতে বাড়িতে ফিরতে পারছিলেন না। আজ গোপনে বরজে গেলেই প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন হাসিবুর হত্যা মামলার আসামিরা। উভয় পক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বরেন্দ্র ডিপ নিয়ন্ত্রণ ও জমিসংক্রান্ত বিরোধে লিপ্ত ছিলো।

এবিষয়ে দুর্গাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, মারামারি ঘটনা আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনো এজাহার দায়ের হয়নি। ঘটনা স্থাল পরিদর্শন করে তদন্ত চলমান রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুর্গাপুরে হত্যা মামলার আসামীকে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট সময়ঃ ০৮:৩৩:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুর তিনমাস পূর্বে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনার নিহত হাসিবুর হত্যা মামলার আসামী ওয়াজেদ আলীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওয়াজেদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে মৃত্যু বরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে নিহতের পরিবার।

১০ আগস্ট (রবিবার) দুপুর ১১ টার দিকে উপজেলার মাড়িয়া ইউপির হোজা অনন্তকান্দি গ্রামে একটি পান বরজে এ ঘটনা ঘটে। জানাযায়, হাসিবুর হত্যা জেরে দীর্ঘ ৩ মাস ধরে এলাকায় ঢুকতে পারছিলেন না আসামি ও তার পরিবারের লোকজনেরা। হামলার শিকার পিতা পুত্র বিলের রাস্তা ধরে তাদের পান বরজে কাজ করতে যায়। খবর পেয়ে প্রতিপক্ষরা, সংঘবদ্ধভাবে হামলা করে হাসিবুর হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামী ওয়াজেদ আলীকে পিটিয়ে দুটি পা একটি হাত ভেঙ্গে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে যায়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ছেলে মাসুমকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়। সন্তান ও স্বামীকে বাঁচাতে আসলে লাইলী বেগমকে পিটিয়ে আহত করে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষরা। আহত মাসুম জানান, পূর্বের বিরোধের জের ধরে আব্বা ও আমি বরজে গেলে, একরামুল, লতিফ, খাদেমুল, ফায়সাল,রনি, ফারুক, কোরবান সহ আরও ১০ থেকে ১২ জন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমার আব্বাকে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে আমার হাত ভেঙ্গেছে মাকে পিটিয়েছে। আব্বাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

প্রসঙ্গত, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ১৪ মে সকাল সাড়ে সাতটার হাসিবুর হত্যা মামলার বাদী আবুল কাশেমের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করে পিটিয়ে, কুপিয়ে শাহিনকে সহ বেশ কয়েকজনকে মারাত্মক আহত করে। এরই জের ধরে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে আহতদের আত্মীয় স্বজনের হামলায় আবুল কাশেমের ছেলে হাসিবুর গুরুত্বর আহত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এনিয়ে ১৮ জন নামীয় ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের হয়। অধিকাংশ আসামী গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্ত রয়েছেন তবে প্রতিপক্ষের হামলার আশঙ্কায় ও হত্যার হুমকিতে বাড়িতে ফিরতে পারছিলেন না। আজ গোপনে বরজে গেলেই প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন হাসিবুর হত্যা মামলার আসামিরা। উভয় পক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বরেন্দ্র ডিপ নিয়ন্ত্রণ ও জমিসংক্রান্ত বিরোধে লিপ্ত ছিলো।

এবিষয়ে দুর্গাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, মারামারি ঘটনা আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনো এজাহার দায়ের হয়নি। ঘটনা স্থাল পরিদর্শন করে তদন্ত চলমান রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।