০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

তানোরের মুন্ডুমালা পৌর নির্বাচনে আলোচনায় তোহিদুর ইসলাম রেজা

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
  • আপডেট সময়ঃ ১২:২০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে।

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার আগামি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দীতার ইচ্ছে প্রকাশ করে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন পৌর বিএনপির সম্পাদক ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন তরুণ নেতৃত্ব তোহিদুর ইসলাম রেজা মাস্টার। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও
দেশে আর্ন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়রকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পৌর প্রশাসক হিসেবে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্ত্ত গত ২৯ এপ্রিল সহকারী কমিশনার বদলি হওয়ায় সেই দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও। এরপর পৌর এলাকার রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের সুত্রপাত হয়েছে। উপজেলার দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা জানান দিতে বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচনি প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এদিকে মুন্ডুমালা পৌরসভায় পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন বিএনপির তরুণ নেতা তোহিদুর ইসলাম রেজা মাস্টার আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন। তিনি মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সম্পাদক।
তিনি সাংগঠনিক কাজ ছাড়াও কর্মী-সমর্থকসহ নাগরিকগণের আপদ-বিপদে পাশে থেকে দলকে শক্তিশালী করেছেন তিনি। ফলে দলের ভিতরে ও বাইরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাঁর। এজন্য আগামী দিনে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঐক্যবব্ধ হয়ে পৌর পিতার হারানো চেয়ার ফিরে পেতে তাকে মেয়রপদে দেখতে চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিমুদ্দিন, সাইফুল ইসলাম এবং মেছের আলীসহ বিপুল সংখ্যক নেতা ও কর্মীসমর্থক ছাড়াও সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। এই জনপ্রিয় নেতার বাড়ি মুন্ডুমালা সদরের সাদিপুর মহল্লায়। পিতার নাম মরহুম তৈয়ব আলী। মাতা মৃত নুরুন্নেসা বেগম। তিনি মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।
জানা গেছে, শিক্ষকতার পাশাপশি তিনি অনলাইন ব্যবসায় জড়িত। তিনি এমএসএস ডিগ্রিধারী। তার স্ত্রী ইয়াসমিন ইসলাম গৃহিণী। তারা তিন ভাই ও পাঁচ বোন। বড়ভাই অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মেজো ভাই মুন্ডুমালা পৌরসভার ফাউন্ডিং কাউন্সিলর। ভাইদের মধ্যে তৃতীয় তিনি। সামাজিক ভাবে সকল হিতৈষী সংগঠনের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত রয়েছেন। রাজনৈতিক সচেতন ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম।
পরিবারের সবাই বিএনপির কর্মী সমর্থক। বিএনপি নেতা রেজা মাস্টার বলেন, স্কুল জীবন থেকেই বিএনপির ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। ১৯৯০ সালে তৎকালিন সময়ে বাধাইড় ইউনিয়নে ১৭ সদস্য বিশিস্ট ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে পথচলা শুরু তার। এভাবে বাধাইড় ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক ও পরে ২০০৩ সালে মুন্ডুমালা পৌর যুবদল গঠন করা হয়। দলের প্রতি তার কর্মতৎপরতা ও ভালোবাসা লক্ষ্য করে তৎকালিন সময়ের জেলা বিএনপির সম্পাদক ও মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত শীষ মোহাম্মদ তাকে সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে থেকে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন তিনি। প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও শীষ মোহাম্মদের ছত্রছায়ায় রাজনীতিতে তার পথ চলা শুরু। এরআগে ২০০৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত মুন্ডুমালা পৌর যুবদলের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা হয় এবং দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। একারণে তিনি দীর্ঘদিন হাজত বাস করেন। এছাড়াও বিএনপি করার অপরাধে ২০১৮ সালে অন্যায়ভাবে তার বেতনভাতা বন্ধ রাখা হয়। এখানো বেশ কয়েকটি মামলায় নিয়মিত আদারতে হাজিরা দিতে হয় তাকে বলে জানান এই নেতা। আগামীতে মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে মেয়রপদ তানোর-গোদাগাড়ীর বিএনপির নীতি নির্ধারক মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন ও হাইকমান্ডকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
এব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির প্রবীণ নেতা অধ্যাপক নূরুল ইসলাম বলেন, আগামীতে মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি থেকে রেজা মাস্টারকে মনোনয়ন দেয়া হলে দলকে মেয়রপদ উপহার দেয়া সম্ভব বলে তিনি আশাবাদী। কারণ অন্যদের চেয়ে রেজা মাস্টারের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। বিএনপির দুর্দিনে এই মাস্টার দলকে কৌশলগত ভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন, এখনো করে যাচ্ছেন। রেজা মাস্টারকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হলে হারানো মেয়রপদ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই আমরা তার পাশে থেকে দল গোছানো কাজ করছি বলে জানান তিনি।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তানোরের মুন্ডুমালা পৌর নির্বাচনে আলোচনায় তোহিদুর ইসলাম রেজা

আপডেট সময়ঃ ১২:২০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার আগামি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দীতার ইচ্ছে প্রকাশ করে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন পৌর বিএনপির সম্পাদক ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন তরুণ নেতৃত্ব তোহিদুর ইসলাম রেজা মাস্টার। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও
দেশে আর্ন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়রকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পৌর প্রশাসক হিসেবে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্ত্ত গত ২৯ এপ্রিল সহকারী কমিশনার বদলি হওয়ায় সেই দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও। এরপর পৌর এলাকার রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের সুত্রপাত হয়েছে। উপজেলার দুটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে মেয়র ও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা জানান দিতে বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচনি প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এদিকে মুন্ডুমালা পৌরসভায় পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন বিএনপির তরুণ নেতা তোহিদুর ইসলাম রেজা মাস্টার আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন। তিনি মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সম্পাদক।
তিনি সাংগঠনিক কাজ ছাড়াও কর্মী-সমর্থকসহ নাগরিকগণের আপদ-বিপদে পাশে থেকে দলকে শক্তিশালী করেছেন তিনি। ফলে দলের ভিতরে ও বাইরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাঁর। এজন্য আগামী দিনে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঐক্যবব্ধ হয়ে পৌর পিতার হারানো চেয়ার ফিরে পেতে তাকে মেয়রপদে দেখতে চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিমুদ্দিন, সাইফুল ইসলাম এবং মেছের আলীসহ বিপুল সংখ্যক নেতা ও কর্মীসমর্থক ছাড়াও সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। এই জনপ্রিয় নেতার বাড়ি মুন্ডুমালা সদরের সাদিপুর মহল্লায়। পিতার নাম মরহুম তৈয়ব আলী। মাতা মৃত নুরুন্নেসা বেগম। তিনি মুন্ডুমালা কামিল মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী শিক্ষক।
জানা গেছে, শিক্ষকতার পাশাপশি তিনি অনলাইন ব্যবসায় জড়িত। তিনি এমএসএস ডিগ্রিধারী। তার স্ত্রী ইয়াসমিন ইসলাম গৃহিণী। তারা তিন ভাই ও পাঁচ বোন। বড়ভাই অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মেজো ভাই মুন্ডুমালা পৌরসভার ফাউন্ডিং কাউন্সিলর। ভাইদের মধ্যে তৃতীয় তিনি। সামাজিক ভাবে সকল হিতৈষী সংগঠনের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত রয়েছেন। রাজনৈতিক সচেতন ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম।
পরিবারের সবাই বিএনপির কর্মী সমর্থক। বিএনপি নেতা রেজা মাস্টার বলেন, স্কুল জীবন থেকেই বিএনপির ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। ১৯৯০ সালে তৎকালিন সময়ে বাধাইড় ইউনিয়নে ১৭ সদস্য বিশিস্ট ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে পথচলা শুরু তার। এভাবে বাধাইড় ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক ও পরে ২০০৩ সালে মুন্ডুমালা পৌর যুবদল গঠন করা হয়। দলের প্রতি তার কর্মতৎপরতা ও ভালোবাসা লক্ষ্য করে তৎকালিন সময়ের জেলা বিএনপির সম্পাদক ও মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত শীষ মোহাম্মদ তাকে সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে থেকে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন তিনি। প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও শীষ মোহাম্মদের ছত্রছায়ায় রাজনীতিতে তার পথ চলা শুরু। এরআগে ২০০৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত মুন্ডুমালা পৌর যুবদলের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা হয় এবং দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। একারণে তিনি দীর্ঘদিন হাজত বাস করেন। এছাড়াও বিএনপি করার অপরাধে ২০১৮ সালে অন্যায়ভাবে তার বেতনভাতা বন্ধ রাখা হয়। এখানো বেশ কয়েকটি মামলায় নিয়মিত আদারতে হাজিরা দিতে হয় তাকে বলে জানান এই নেতা। আগামীতে মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে মেয়রপদ তানোর-গোদাগাড়ীর বিএনপির নীতি নির্ধারক মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিন ও হাইকমান্ডকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
এব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির প্রবীণ নেতা অধ্যাপক নূরুল ইসলাম বলেন, আগামীতে মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি থেকে রেজা মাস্টারকে মনোনয়ন দেয়া হলে দলকে মেয়রপদ উপহার দেয়া সম্ভব বলে তিনি আশাবাদী। কারণ অন্যদের চেয়ে রেজা মাস্টারের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। বিএনপির দুর্দিনে এই মাস্টার দলকে কৌশলগত ভাবে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন, এখনো করে যাচ্ছেন। রেজা মাস্টারকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হলে হারানো মেয়রপদ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই আমরা তার পাশে থেকে দল গোছানো কাজ করছি বলে জানান তিনি।