০৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

দখল ও দূষনে দুর্গাপুরের হোজা নদী

হাসিবুর রহমান হাসিবঃ
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:১০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে।

হাসিবুর রহমান হাসিবঃ
ভূমিদস্যু ও দখলদারীদের কবলে হোজা নদী, কেবল নদীর অস্তিত্বটুকু রয়ে গেছে।ছুটে চলার আনন্দ আর ঘূর্ণিপথের বাঁকে বাঁকে যে রহস্যময়তা তা যেন আজ কবিতা ও গানেই শুধুই স্থান পায়। একসময় যে নদীতে চলতো পাল তোলা বড় বড় নৌকা,ছোট্ট বড় রং বিরঙের ডিঙ্গি,পানসি।কালের বিবর্তনে সেগুলো আজ শুধুই অতীত।
দূষিত পানি এবং ময়লা আবর্জনার কারণে, নদী থেকে হারিয়ে গেছে দেশিও অনেক জাতের মাছ। এখন দখল ও দূষণের হুমকির মুখে নদীর অস্তিত্ব।

এলাকাবাসীরা বলে,বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনাতেই ভরাট হয়েছে এই নদী,যে যেভাবে পারে সে সেভাবে দূষণ করছে নদী। পানি কম থাকায় আবর্জনা ফেলে দখল করা হচ্ছে,নদীর অধিকাংশ জায়গায় দুইপাড় অবৈধ দখলদারদের দখলে। বর্ষা মৌসুমে পানি স্বাভাবিক থাকলেও শীতকালে অনেক স্থানে শুকিয়ে চৌচির,আবার নদীর যে অংশ পানি আছে, সেখানকার স্থানীয় লোকেরা নদীতে বাঁধ দিয়ে রাখেন।ফলে বন্ধ হয়ে যাই পানি প্রবাহ।এক কালের খরস্রোতা হোজা নদী এখন প্রায় মৃত।
নদীর পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলে, এই নদীতে মাছ ধরে,সে মাছ বাজারে বিক্রি করে আমি আমার সংসার চালিয়েছি।শোল, গজাড়,শিং,কই,টেংরা, পুঠি,কতই না মাছ এই নদী ছিলো।এখন আর মাছ নাই শুধু ময়লা আর আবর্জনা দেখতে পাই।

বিশেষক সূত্রে জানা যায়, দেশের নদনদীর দখল নিয়ে গত কয়েক বছরে অনেক আলাপ আলোচনা হয়েছে, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগে ৬৪ জেলায় অবৈধ নদী দখলদারীদের তালিকা করা হয়েছে।সে তালিকা ঐতিহাসিক হোজা নদীর নাম ও উল্লেখ করা হয় এবং সেই তালিকায় জেলায় জেলায় টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
২০১৮ও২০১৯জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগে ৬৪জেলায় ৫৭ হাজার৩৯০ জন অবৈধ দখলদারদের তালিকা করা হয়।এই দখলদারদের মধ্যে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী,রাজনৈতিক, সরকারি সংস্থা রয়েছে। ২০১৯ সালে শেষ নাগাদ ১৮হাজারের ৫২০জন বা ৫৩শতাংশ অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করা হয়,পরবর্তী সময়ে ছোট ছোট নদীগুলো, দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা এবং নদী পুনরায় খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে হোজা নদীর নামটিও রাখা হয়। কিন্তু করোনা মহামারী পর থেকে, সকল কার্যক্রম ভাটা পড়ে যায়।

হোজা নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০কিলোমিটারে বেশি, যার প্রায় ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পানি প্রবাহ খুবই কম।নদীটি এখন নদে পরিবর্তন হয়েছে, নদীটি দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে বাঁচানোর দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দখল ও দূষনে দুর্গাপুরের হোজা নদী

আপডেট সময়ঃ ০৮:১০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

হাসিবুর রহমান হাসিবঃ
ভূমিদস্যু ও দখলদারীদের কবলে হোজা নদী, কেবল নদীর অস্তিত্বটুকু রয়ে গেছে।ছুটে চলার আনন্দ আর ঘূর্ণিপথের বাঁকে বাঁকে যে রহস্যময়তা তা যেন আজ কবিতা ও গানেই শুধুই স্থান পায়। একসময় যে নদীতে চলতো পাল তোলা বড় বড় নৌকা,ছোট্ট বড় রং বিরঙের ডিঙ্গি,পানসি।কালের বিবর্তনে সেগুলো আজ শুধুই অতীত।
দূষিত পানি এবং ময়লা আবর্জনার কারণে, নদী থেকে হারিয়ে গেছে দেশিও অনেক জাতের মাছ। এখন দখল ও দূষণের হুমকির মুখে নদীর অস্তিত্ব।

এলাকাবাসীরা বলে,বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনাতেই ভরাট হয়েছে এই নদী,যে যেভাবে পারে সে সেভাবে দূষণ করছে নদী। পানি কম থাকায় আবর্জনা ফেলে দখল করা হচ্ছে,নদীর অধিকাংশ জায়গায় দুইপাড় অবৈধ দখলদারদের দখলে। বর্ষা মৌসুমে পানি স্বাভাবিক থাকলেও শীতকালে অনেক স্থানে শুকিয়ে চৌচির,আবার নদীর যে অংশ পানি আছে, সেখানকার স্থানীয় লোকেরা নদীতে বাঁধ দিয়ে রাখেন।ফলে বন্ধ হয়ে যাই পানি প্রবাহ।এক কালের খরস্রোতা হোজা নদী এখন প্রায় মৃত।
নদীর পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার বলে, এই নদীতে মাছ ধরে,সে মাছ বাজারে বিক্রি করে আমি আমার সংসার চালিয়েছি।শোল, গজাড়,শিং,কই,টেংরা, পুঠি,কতই না মাছ এই নদী ছিলো।এখন আর মাছ নাই শুধু ময়লা আর আবর্জনা দেখতে পাই।

বিশেষক সূত্রে জানা যায়, দেশের নদনদীর দখল নিয়ে গত কয়েক বছরে অনেক আলাপ আলোচনা হয়েছে, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগে ৬৪ জেলায় অবৈধ নদী দখলদারীদের তালিকা করা হয়েছে।সে তালিকা ঐতিহাসিক হোজা নদীর নাম ও উল্লেখ করা হয় এবং সেই তালিকায় জেলায় জেলায় টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
২০১৮ও২০১৯জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগে ৬৪জেলায় ৫৭ হাজার৩৯০ জন অবৈধ দখলদারদের তালিকা করা হয়।এই দখলদারদের মধ্যে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী,রাজনৈতিক, সরকারি সংস্থা রয়েছে। ২০১৯ সালে শেষ নাগাদ ১৮হাজারের ৫২০জন বা ৫৩শতাংশ অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করা হয়,পরবর্তী সময়ে ছোট ছোট নদীগুলো, দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা এবং নদী পুনরায় খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে হোজা নদীর নামটিও রাখা হয়। কিন্তু করোনা মহামারী পর থেকে, সকল কার্যক্রম ভাটা পড়ে যায়।

হোজা নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০কিলোমিটারে বেশি, যার প্রায় ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পানি প্রবাহ খুবই কম।নদীটি এখন নদে পরিবর্তন হয়েছে, নদীটি দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে বাঁচানোর দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ।