০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

শ্রীপুরে অর্ধ কোটি টাকার ভেজাল সার কারখানা সীলগালা

সুলতান মাহমুদ,স্টাফ রিপোর্ট:
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৫ বার পড়া হয়েছে।

সুলতান মাহমুদ,স্টাফ রিপোর্ট:

গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘আলিফ ফার্টিলাইজার’ নামে একটি অবৈধ ও ভেজাল সার কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।১৭ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে আর্ধ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানাটিতে বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে ইটের গুঁড়া ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল নকল সার। জিপসাম, জিংকসহ নানা প্রকারের সার প্যাকেটজাত অবস্থায় সারিবদ্ধভাবে সাজানো ছিল।
অভিযানে জব্দকৃত উল্লেখযোগ্য মালামালের মধ্যে রয়েছে:
৮ টন আলিফ জিপসাম।
২ টন পাওয়ার জৈবসার।
২ টন শক্তি জিংক প্লাস।
১.৫ টন গ্রোজিংক।
১.৫ টন খোলা জিপসাম।
১.২৫ টন জিপসামের কাঁচামাল।
৯৫০ কেজি ইটের গুঁড়
১ টন গোটা মুসুর (ভেজাল তৈরির মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহৃত)।
এছাড়াও রোটন প্লাস, ডায়াজিনন, ফরফুরান এবং ইটের খোয়া দিয়ে তৈরি নিষিদ্ধ বাসুডিনসহ সার তৈরির সরঞ্জাম ও মেশিন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, জব্দকৃত শুধুমাত্র প্যাকেটজাত ভেজাল সারগুলোর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। কাঁচামাল ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ সামগ্রিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা হতে পারে।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, “কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা করে ইটের গুঁড়া দিয়ে এসব বিষাক্ত ও নকল সার তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা কারখানাটি সীলগালা করে দিয়েছি এবং জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযানের সময় মালিকপক্ষকে পাওয়া না গেলেও তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।”
অভিযানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আফরোজা এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কবির হোসেন

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীপুরে অর্ধ কোটি টাকার ভেজাল সার কারখানা সীলগালা

আপডেট সময়ঃ ০৯:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সুলতান মাহমুদ,স্টাফ রিপোর্ট:

গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘আলিফ ফার্টিলাইজার’ নামে একটি অবৈধ ও ভেজাল সার কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।১৭ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে আর্ধ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানাটিতে বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে ইটের গুঁড়া ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল নকল সার। জিপসাম, জিংকসহ নানা প্রকারের সার প্যাকেটজাত অবস্থায় সারিবদ্ধভাবে সাজানো ছিল।
অভিযানে জব্দকৃত উল্লেখযোগ্য মালামালের মধ্যে রয়েছে:
৮ টন আলিফ জিপসাম।
২ টন পাওয়ার জৈবসার।
২ টন শক্তি জিংক প্লাস।
১.৫ টন গ্রোজিংক।
১.৫ টন খোলা জিপসাম।
১.২৫ টন জিপসামের কাঁচামাল।
৯৫০ কেজি ইটের গুঁড়
১ টন গোটা মুসুর (ভেজাল তৈরির মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহৃত)।
এছাড়াও রোটন প্লাস, ডায়াজিনন, ফরফুরান এবং ইটের খোয়া দিয়ে তৈরি নিষিদ্ধ বাসুডিনসহ সার তৈরির সরঞ্জাম ও মেশিন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, জব্দকৃত শুধুমাত্র প্যাকেটজাত ভেজাল সারগুলোর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। কাঁচামাল ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ সামগ্রিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা হতে পারে।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, “কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা করে ইটের গুঁড়া দিয়ে এসব বিষাক্ত ও নকল সার তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা কারখানাটি সীলগালা করে দিয়েছি এবং জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযানের সময় মালিকপক্ষকে পাওয়া না গেলেও তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।”
অভিযানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আফরোজা এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কবির হোসেন