১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

বাগমারায় ইউপি সদস্যকে বিএনপি নেতার হুমকি, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২৫ বার পড়া হয়েছে।

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ধানের শীষের ভোট করতে চাপ দেওয়া, মারধর ও ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ইউপি সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী।

অভিযোগকারী আমান উল্লা খামারু বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার)। তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেলে চেউখালী বাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খামারু আলার নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রসহ সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় আসন্ন নির্বাচনে তাকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে চাপ দেওয়া হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদ আলী খামারুসহ আরও কয়েকজন তাকে উদ্দেশ করে বলেন, “এবার ধানের শীষে ভোট করতেই হবে, না করলে পিটানো হবে।” তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধরের জন্য উদ্যত হন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর দাবি, তার চিৎকারে বাজারের লোকজন জড়ো হলে অভিযুক্তরা ‘দেখে নেওয়া হবে’, ‘ভবিষ্যৎ খারাপ আছে’—এ ধরনের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সবাই ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়ার পক্ষের লোক। ঘটনার সময় চেউখালী বাজারে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মো. আমান উল্লা খামারু প্রশাসনের কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাগমারায় ইউপি সদস্যকে বিএনপি নেতার হুমকি, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ

আপডেট সময়ঃ ০৬:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ধানের শীষের ভোট করতে চাপ দেওয়া, মারধর ও ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ইউপি সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মী।

অভিযোগকারী আমান উল্লা খামারু বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার)। তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেলে চেউখালী বাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খামারু আলার নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রসহ সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় আসন্ন নির্বাচনে তাকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে চাপ দেওয়া হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদ আলী খামারুসহ আরও কয়েকজন তাকে উদ্দেশ করে বলেন, “এবার ধানের শীষে ভোট করতেই হবে, না করলে পিটানো হবে।” তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধরের জন্য উদ্যত হন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর দাবি, তার চিৎকারে বাজারের লোকজন জড়ো হলে অভিযুক্তরা ‘দেখে নেওয়া হবে’, ‘ভবিষ্যৎ খারাপ আছে’—এ ধরনের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সবাই ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়ার পক্ষের লোক। ঘটনার সময় চেউখালী বাজারে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মো. আমান উল্লা খামারু প্রশাসনের কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।