০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

মান্দায় চিকিৎসা নিতে এসে শিক্ষক দম্পতিকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

আরিফুজ্জামান রন্জু, মান্দা (নওগাঁ):
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৫১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে।

আরিফুজ্জামান রন্জু, মান্দা (নওগাঁ):
নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে এক শিক্ষক দম্পতি লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ অফিস স্টাফের কয়েকজন মিলে শিক্ষক দম্পতির ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী দম্পতি হলেন উপজেলার ফতেপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক তাজিবুল হক ও প্রসাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজনীন নাহার। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষক সমাজ ও সুধী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় শনিবার (২ আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষক দম্পতি।
ভুক্তভোগী শিক্ষক তাজিবুল হক বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও আমি দুজনেই শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিফাত বিনতে জান্নাত ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধির সঙ্গে কথাবার্তায় ব্যস্ত। আমরা ভিতরে ঢুকতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। এর বেশ কিছু পরে ভেতরে প্রবেশ করলেও ডাক্তার আমাদের ওপর নাখোশ হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রেসার মাপতে চাইলে তিনি বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। চিকিৎসক আমার চিকিৎসা দিলেও আমার স্ত্রীর চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানান। এ সময় আমি মোবাইলে কিছু ভিডিও ধারণ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন।’
শিক্ষক তাজিবুলের অভিযোগ, ‘পরে চিকিৎসকের ইঙ্গিতে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালক ইমন, নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, স্বেচ্ছাসেবক নাজমুল হক ও বাপ্পি নাগ এবং লাঠিয়াল বাবলু এসে আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে টেনে-হিঁচড়ে জরুরি বিভাগের ভেতরে নিয়ে হেনস্তা ও আটকে রাখা হয়।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে চিকিৎসক রিফাত বিনতে জান্নাত বলেন, ‘আমি যথাযথভাবে চিকিৎসা দিয়েছি। প্রেসার মাপাকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে ওই শিক্ষক মোবাইলে আমার ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। তারা পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।’
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাসনিম হোসেন আরিফ বলেন, ‘এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগসঃ

নিউজটি শেয়ার করুন

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মান্দায় চিকিৎসা নিতে এসে শিক্ষক দম্পতিকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

আরিফুজ্জামান রন্জু, মান্দা (নওগাঁ):
নওগাঁর মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসে এক শিক্ষক দম্পতি লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ অফিস স্টাফের কয়েকজন মিলে শিক্ষক দম্পতির ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী দম্পতি হলেন উপজেলার ফতেপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক তাজিবুল হক ও প্রসাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজনীন নাহার। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষক সমাজ ও সুধী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় শনিবার (২ আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষক দম্পতি।
ভুক্তভোগী শিক্ষক তাজিবুল হক বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও আমি দুজনেই শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় শুক্রবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিফাত বিনতে জান্নাত ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধির সঙ্গে কথাবার্তায় ব্যস্ত। আমরা ভিতরে ঢুকতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। এর বেশ কিছু পরে ভেতরে প্রবেশ করলেও ডাক্তার আমাদের ওপর নাখোশ হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রেসার মাপতে চাইলে তিনি বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। চিকিৎসক আমার চিকিৎসা দিলেও আমার স্ত্রীর চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানান। এ সময় আমি মোবাইলে কিছু ভিডিও ধারণ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন।’
শিক্ষক তাজিবুলের অভিযোগ, ‘পরে চিকিৎসকের ইঙ্গিতে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালক ইমন, নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, স্বেচ্ছাসেবক নাজমুল হক ও বাপ্পি নাগ এবং লাঠিয়াল বাবলু এসে আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে টেনে-হিঁচড়ে জরুরি বিভাগের ভেতরে নিয়ে হেনস্তা ও আটকে রাখা হয়।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে চিকিৎসক রিফাত বিনতে জান্নাত বলেন, ‘আমি যথাযথভাবে চিকিৎসা দিয়েছি। প্রেসার মাপাকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে ওই শিক্ষক মোবাইলে আমার ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। তারা পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।’
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাসনিম হোসেন আরিফ বলেন, ‘এ ধরনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।