দূর্গাপুরে পাটের ভালো দাম পাওয়াই মহাখুশি কৃষকরা

- আপডেট সময়ঃ ০১:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে।

হাসিবুর রহমানঃ
রাজশাহী দূর্গাপুরে পাটের ভালো দাম পাওয়াই কৃষকেরা খুশি,একদিকে পাটের বাম্পার ফলন,আরেক দিকে পাটের চড়া দাম। এতে যেনো ঈদের আনন্দ বিরাজ করছে পাট চাষিদের মধ্যে। সপ্তাহ দুয়েক থেকে দূর্গাপুর বাজারগুলোতে নতুন পাট ওঠতে শুরু করেছে।গতো বছর থেকে এবার এক হাজার টাকা বেশি মন পাট বিক্রি করেছেন কৃষকেরা।এছাড়া এবার পাটের ফলন যেমন ভালো হয়েছে, পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় জাগ দেয়ার তেমন কোন সমস্যা হয়নি। সব মিলিয়ে এবার পাট চাষিরা বেশ খুশি।
পাটকে সোনালী আঁশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়,আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায়,অন্যদিকে পাটের দাম কমে যাওয়ায়,এক সময় কৃষকেরা পাট চাষে থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়,তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের ভালো দাম পাওয়ায়,পাট চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। গতো বছর শুরুতে নতুন পাট বিক্রি হয়েছে ২হাজার২০০থেকে২হাজার৬০০টাকা মন পর্যন্ত। এবার কৃষকেরা নতুন পাট বিক্রি করতেছে মন প্রতি ৩ হাজার ৭০০থেকে৪হাজার টাকা পর্যন্ত। এবারে মন প্রতি বাড়টি পাওয়া যাচ্ছে ১হাজার৪০০টাকা থেকে১হাজার ৮০০টাকা পর্যন্ত। পাট চাষি রফিক মিয়া বলেন,এবারে আমরা পেঁয়াজের জমিতে পাট চাষ করেছি,যেহেতু পেঁয়াজে অনেক পরিমাপ সার ওষুধ ব্যবহার করতে হয়,পেঁয়াজ উঠানোর পরে ওই জমিতে আমরা পাট বীজ বপন করি,এতে পাটের ফলাফল তুলনামূলক অন্যান্য বারের চাইতে ভালো হয়েছে,সার ও ওষুধ কম ব্যবহার করতে হয়েছে। এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়াতে সেচ খরচটা বাড়েনি,আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগ পোকামাকড় অন্যান্য বারের চাইতে কম।
চৌবাড়িয়া গ্রামে আব্দুল সাত্তার বলেন,এবার বিঘা প্রতি পাট ৮ থেকে ১০ মন হারে হয়েছে,আমি ৩ বিঘা মাটিতে পাট চাষ করেছি, ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে পাট চাষে বড় সমস্যা হয় জাগ দেয়ার জায়গা না থাকা,অনেক সময় দূরে জাগ দিতে গিয়ে খরচ বেশি পড়ে যাই, এবার এই সমস্যাগুলো হয়নি, এ মৌসুমে বর্ষা অনেক আগে থেকে শুরু হওয়াই পানি সব জায়গায় পেয়েছি, তাতে পাট জাগের কোন সমস্যা হয়নি। তবে পাট চাষে পরিশ্রমটা বেশি হলেও বাজারের দামটা ভালো থাকায়, পার্টের ন্যায্য মূল্যটা আমরা এবার পেয়েছি।
পাট বাজারের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেন,এই মৌসুমে পাট চাষ করে কৃষকেরা তাদের সুদিন ফিরে পেয়েছে, মৌসুমের শুরু হিসাবে হাটে মোটামুটি ভালো পাটের সরবরাহ দেখা যাচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে পাটের দাম মনপ্রতি৪০০০টাকা পযন্ত উঠেছিলো। সেই তুলনায় গতো হাটে মনপ্রতি এক থেকে দেড়শো টাকা কমেছে।এর পরে যে দামে পাট বিক্রি হচ্ছে তাতে কৃষকেরা খুশি।তবে আগামী দিনে সরববরাহ বাড়লে পাটের দাম পড়ে যাবে কিনা, এমন আশঙ্কায় আছেন কৃষকেরা।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী বলেন এবার দূর্গাপুরের প্রায় ১৫০০হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। আবহাওয়া,ফলনও দাম অনুযায়ী এবার কৃষক পাট চাষে লাভজনক অবস্থায় আছেন।তবে এখনো হাটে পাটের সরবরাহ পুরাপুরি স্বাভাবিক হয়নি, তিন চার সপ্তাহে গেলে বোঝা যাবে দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়,তবে বাজারে চাহিদা আছে।এবার পাট চাষ করে কৃষকেরা মোটামুটি লাভবান হবে।