তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা রাখছে

- আপডেট সময়ঃ ০৩:৫০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে।

তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা রাখছে
আলিফ হোসেন তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের প্রত্যন্ত পল্লীর গ্রামীণ জনপদের অধিবাসিদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মাঝে শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদান রেখে চলেছে কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়। নানা প্রতিকুলতা মোকাবেলা করেই স্কুলটি গ্রামীণ জনপদে শিক্ষা বিস্তারে বড় ভুমিকা রাখছে।গ্রামীণ পরিবেশেও শহরের মতো আধূনিক পাঠদান দেয়া হচ্ছে।অত্যন্ত মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশ, নেই কোনো হৈহুল্লোড়, নেই কোনো কোলাহল একদম নিরব-নিস্তব্ধ। তানোর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে কৃষ্ণপুর গ্রামে অবস্থান প্রতিষ্ঠানটির। গ্রামীণ পরিবেশ তবে শহরের মতো আধূনিক মানসম্মত পাঠদানের কোনো কমতি নেই। শহরের নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানের যেসব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বা উপকরণ থাকে সেই সুযোগ-সুবিধা বা উপকরণ হয়তো বা এখানে নাই। তবে পাঠদানের ক্ষেত্রে তাদের থেকে তারা কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই। এখানে তার যেনো পুরোটাই রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে একদল দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী। যারা বিষয় ভিত্তিক মানসম্মত আধূনিক পাঠদানের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছেন। প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বানীর আন্তরিক প্রচেস্টা, পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহায়তায় স্কুলে সেই সম্ভবনা তৈরী হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেস্টায় সম্ভব হচ্ছে শতভাগ উপস্থিতিতে টেকশই পাঠদান মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবক পর্যায়ে স্বপ্ন বিনির্মাণ। উন্নত ও বাস্তব সম্মত শিক্ষার জন্য চলছে, প্রশিক্ষণ ও বিশ্লেষণ।
জানা গেছে বিগত ১৯৬৭ সালে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) কৃষ্ণপুর গ্রামে এক একর জমির ওপর কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে এমপিও ভুক্ত করা হয়। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি এখানো আধুনিক একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়নি,নেই লাইব্রেরি ও কম্পিউটার ল্যাব। স্কুলে ১৩ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী এবং প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। গত শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষায় ৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
কৃষ্ণপুর স্কুলের মাধ্যমে প্রত্যন্ত পল্লীর গ্রামীণ জনপদের ছেলেমেয়েদের ঘরের পাশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। শহর বা গ্রাম বলে কোনো কথা নয় প্রতিষ্ঠান প্রধানের সদিচ্ছা থাকলে যে কোনো স্থানে সুন্দর পরিবেশে সৃষ্টি ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখা যায় কৃষ্ণপুর স্কুল তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। স্কুলে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত বিতর্ক প্রতিযোগীতা, চিত্রাঙ্কন, খেলা-ধূলা ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয় এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ অন্যদিকে সৃজনশীল ও মননশীল হিসেবে গড়ে উঠছে।স্কুলের অবকাঠামো, শিক্ষাপোকরণ, জনবল, শিক্ষার্থী ও পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল ধরে রেখেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বানী বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তারা মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তাদের স্কুলে একাডেমিক ভবন ও কম্পিউটার ল্যাব প্রয়োজন তাহলে তারা শিক্ষা বিস্তারে আরো বেশী অবদান রাখতে পারবেন।#